ইস্টার্ণ রিফাইনারী লিমিটেড ( ইআরএল ) - এ ক্রুড অয়েল প্রক্রিয়াজাত করার সময় উপজাত হিসেবে উৎপাদিত এলপিজি সংরক্ষণ করে বোতলজাতপূর্বক গার্হ্যস্থ কাজে ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এর নিয়ন্ত্রনে পরিচালিত যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক ১৯৭৭-৭৮ সালে উত্তর পতেঙ্গা, চট্টগ্রামে এলপিজি ষ্টোরেজ ও বটলিং প্ল্যান্ট প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। এডিপি’র ঋণ (১২৫.০০ লক্ষ টাকা) এবং বৈঃ ক্রেডিট (৬৩,৯৬৬.০০ ফ্রাঁক) এর মাধ্যমে চট্টগ্রামস্থ এলপিজি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। স্থাপনকাল হতে ইহা বিপিসি’র একটি প্রকল্প হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে এ প্রকল্পটি “এল পি গ্যাস লিমিটেড ” নামে বিপিসি’র একটি সাবসিডিয়ারী হিসাবে ৩ মার্চ ১৯৮৩ সালে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়। ১৯৮৮ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে রুপান্তরিত করা হয়। সরকারী ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত এলপিজি বাজারজাত করার ব্যবস্থার আওতায় পেট্রোবাংলার রুপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল)- এ উৎপাদিত এলপিজি বোতলজাত ও বাজারজাত করার লক্ষে ১৯৯৫ সালে বিপিসি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কৈলাশটিলায় আরো একটি এলপিজি স্টোরেজ, বটলিং ও ডিষ্ট্রিবিউশন প্রকল্প গ্রহণ করে, যা ১৯৯৮ সালে উৎপাদনে যায়। কৈলাশটিলা এলপি প্রকল্পটি ২৩৬৮.৫৯ লক্ষ টাকা এডিপি’র ঋণ বাস্তবায়ন করা হয়। কৈলাশটিলা এলপিজি প্রকল্পটি ২০০৩ সালে এলপি গ্যাস লিমিটেড চট্টগ্রামের সাথে একীভুত করা হয়।
এলপি গ্যাস লিমিটেড- এর উত্তর পতেঙ্গা চট্টগ্রামস্থ এবং সিলেটের গোলাপগঞ্জ কৈলাশটিলাস্থ এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট দুইটিতে যথাক্রমে ইস্টার্ণ রিফাইনারী লিমিটেড (ইআরএল) এবং রুপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) - এ উৎপাদিত এলপিজি পাইপ লাইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে স্টোরেজ করতঃ বোতলজাত করা হয়। অতঃপর বোতলজাতকৃত এলপিজি বিপিসি’র নিয়ন্ত্রনে পরিচালিত বিপনন কোম্পানিসমুহের মাধ্যমে বাজারজাত করার লক্ষ্যে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও এসএওসিএল - কে বিপিসি’র নির্দেশিত হারে সরবরাহ করা হয়।